রবিবার, ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০২:১৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
বাংলাদেশ বানীর শ্রেষ্ঠ প্রতিনিধি বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু কলাপাড়ায় গ্রাম ডাক্তার কল্যান সমিতির পরিচিতি সভা হিজলা উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আব্দুল গাফফার তালুকদারের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত কুয়াকাটায় ভ্যাট কর্মকর্তার অপসারনের দাবিতে পর্যটন ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন নারায়নগঞ্জের আলোচিত হ/ত্যা মামলর আসামি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করেছে পটুয়াখালী র‌্যাব-৮ মহিপুরে বরফ কলের বিপজ্জনক অ্যামোনিয়া গ্যাস ছড়িয়ে অসুস্থ ২০ নানা আয়োজনে কলাপাড়ায় বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ পালিত কলাপাড়ায় খাল পুনরুদ্ধারে বেলার উদ্যোগ। অংশীজনদের মতবিনিময় বরিশাল জেলা মটরযান মেকানিক ইউনিয়নের সাধারণ সভা বরিশাল সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি পুনর্গঠন বরিশালের দুই শতাথিক বছরের অধিক এতিহ্যবাহী উপমহাদেশের একমাত্র শ্মশান দিপালী উৎসব ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের দাপুটে জয় পুড়েছে আমদানির, নিরাপদ রয়েছে রপ্তানির অংশ: বিমান উপদেষ্টা কালাবদর নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় অভিযানে ২০ রাউন্ড গুলি ব্লাকমেইল করে পুর্নবাসন ঘর, জমির টাকা হাতিয়ে নেয়ার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় হোমিওপ্রতিবিধান

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসায় হোমিওপ্রতিবিধান

Sharing is caring!

ডেঙ্গু বহু ব্যাপক ও অল্পদিন স্থায়ী জ্বর বিশেষ। আমেরিকায় একে ব্রেকবোন ফিভার বা হাড়ভাঙা জ্বর বলে। বর্ষার শেষে মশার মাধ্যমে এই জ্বর বিস্তার লাভ করে।

এটি একটি সংক্রামক ট্রপিক্যাল ডিজিজ, যা ডেঙ্গু ভাইরাসের কারণে হয়। এই রোগটি সর্বপ্রথম স্কটল্যান্ডের ডান্ডিতে মহামারী আকারে দেখা দেয়। তাই এ জ্বরকে ডান্ডি জ্বর বলেও ডাকা হয়। এ জ্বরকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়- সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর ও হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর।

ডেঙ্গু জীবাণুবাহী মশা কামড়ানোর পাঁচ-সাত দিনের মধ্যে সাধারণত রোগের উপসর্গ দেখা যায়। কিছু কিছু ডেঙ্গু রোগী কোনো উপসর্গ ছাড়া সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে ওঠে।

ডেঙ্গু জ্বরে যে উপসর্গগুলো দেখা যায় তার মধ্যে জ্বর, মাথাব্যথা, পেশী ও গিঁটে ব্যথা ও ত্বকে র‌্যাশ যা হামজ্বরের সমতুল্য। স্বল্পক্ষেত্রে অসুখটি প্রাণঘাতী ডেঙ্গু হেমোরেজিক ফিভারে পরিণত হয়, যার ফলে রক্তপাত, রক্ত অণুচক্রিকার কম মাত্রা ও পরবর্তীতে ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোমে পরিণত হয়।

বেশিরভাগ ডেঙ্গু জ্বরই সাত দিনের মধ্যে সেরে যায় এবং অধিকাংশই ভয়াবহ নয়। প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ পানি পান, বিশ্রাম ও প্রচুর পরিমাণ তরল খাবার গ্রহণ করা। শরীরে হাড়ভাঙা বেদনা নিয়ে এ জ্বর হয়। এ কারনে এ জ্বরের নাম হয়েছে ডেঙ্গু জ্বর। 


যেসব লক্ষণ প্রকাশ পায়
সহসা সামান্য শীত ও চোখমুখে লালিমাসহ প্রবল জ্বর হয়। জ্বর ১০২ থেকে ১০৫ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে। সর্বশরীরে বিশেষত চক্ষুগোলকের উপরিভাগে, চক্ষুগোলক, কোমর ব্যথা করে। রোগী নিদারুণ যন্ত্রণায় কাতর হয়ে পড়ে। জিহ্বা শুষ্ক, ময়লাবৃত, বিবমিষা বমি ভাব কোষ্ঠবদ্ধতা উপস্থিত হয়। চোখ রক্তবর্ণ ধারণ করে। মুখে ফোলা ভাব দেখা দেয়। 

এভাবে দু’তিন দিন চলে পরে চতুর্থ দিনে পুনরায় জ্বর বেড়ে যায়। সঙ্গে হামের মতো দেখা যায়। ২/৩ দিন পরে মিলিয়ে যায়। কিন্তু জ্বর শেষে অত্যন্ত দুর্বলতা, ক্ষুধামন্দা, মানসিক অবসাদ দেখা দেয়। ডেঙ্গু জ্বরে উত্তাপের তুলনায় নাড়ির গতি কম থাকে। রক্তে শ্বেত কণিকার অভাব দেখা দেয় ও এসিনোফিলের পরিমাণ বেড়ে যায়। অনেক সময় এই অসুখের সঙ্গে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও বাতজ্বরের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে সমস্যা হয়।
এ জ্বর দু’ভাগে ভাগ করা যায়-সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর ও হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর।

হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বর
ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়, ত্বক ছুঁলে আঁঠালো ও শীতল অনুভূত হয়। সার্বক্ষণিক ভীষণ পেটব্যথা থাকে। প্রথম দিকে মাড়ি, নাক, মুখ বা ত্বকের নিচে রক্তক্ষরণ হতে পারে। ত্বকের নিচে কালো বর্ণের চাকা চাকা দাগ হতে পারে। শিশুরা অনবরত কাঁদতে থাকে। খুব পিপাসা পায়। শ্বাসকষ্ট হতে পারে, মাঝে মধ্যে বমিও হয়। বমিতে রক্ত নাও থাকতে পারে। কালো বর্ণের পায়খানা হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের জটিল অবস্থাকে বলে ডেঙ্গু শক সিনড্রোম। এ অবস্থায় হৃৎকম্পন বেড়ে যায়। ব্লাডপ্রেসার কমে যায়। হাত-পাসহ সারা শরীর বরফের মতো শীতল হয়ে যায়। একপর্যায়ে রোগী মূর্ছা যেতে পারে। রোগীর খুব অস্থিরতাবোধ, একই সঙ্গে ঘুম ঘুম ভাব দেখা যায়।

করণীয়
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে উচ্চ তাপমাত্রা রোধ করতে শরীর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুছে দিতে হবে। শরীর বেশি ঠাণ্ডা মনে হলে খাবার স্যালাইন দিতে হবে। হেমোরেজিক ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীকে হাসপাতালে নিতে হবে। তাকে পূর্ণ বিশ্রামে রেখে বেশি করে পানি খেতে দিতে হবে। 

হোমিওপ্রতিবিধান
রোগ নয়, রোগীকে চিকিৎসা করা হয়, তাই একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক রোগীর রোগের পুরো লক্ষণ নির্বাচন করতে পারলে হোমিওতে ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব।

হোমিও চিকিৎসা
অভিজ্ঞ চিকিৎসক যেসব ওষুধ ব্যবহার করেন, একোনাইট, বেলেডোনা, ব্রায়োনিয়া, রাসটক্স, ইউপেটেরিয়াম পার্ফ, আর্সেনিক অ্যালবাম, কার্বোভেজ, ইপিকাক, বাক্স, সালফারসহ আরো অনেক ওষুধ লক্ষণের উপর আসতে পারে, তাই ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে অভিজ্ঞ হোমিওচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

লেখক, ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ
স্বাস্থ্য বিষয়ক উপদেষ্টা, হিউম্যান রাইটস রিভিউ সোসাইটি কেন্দ্রীয় কমিটি
 কো-চেয়ারম্যান হোমিওবিজ্ঞান গবেষণা ও প্রশিক্ষণকেন্দ্র
ইমেইল.drmazed96@gmail.com

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD